বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০১৯

সম্পর্ক ভাঙ্গার ১০১ উপায়

মানিব্যাগটা হাতে নিতেই বুঝতে পারলাম এখান থেকে বেশ কিছু টাকা হাত সাফাই হয়েছে। গুনে দেখি দুইশো টাকা মতো গায়েব। আমার মানিব্যাগ থেকে টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন কোন ব্যাপার নয়। এই ঘটনা এর আগেও বহুবার ঘটেছে। আর টাকা গায়েবকারীর পরিচয়ও আমার অজানা নয়। টাকা গায়েবকারী হচ্ছে স্বয়ং আমার ছোটবোন রিমি!

বাড়ীর বড় ছেলে হওয়ার এই হচ্ছে সমস্যা। নিজের বলতে কিছু থাকেনা। টাকা থেকে শুরু করে সবকিছু ছোট ভাই বোনদের দখলে চলে যায়!

রিমি আজ সকালবেলা আমার মানিব্যাগ থেকে দু'শো টাকা মেরে দিয়েছে এটা অবশ্যই বড় একটা সমস্যা। কিন্তু এই মূহুর্তে এই সমস্যাটা নিয়ে আমি মাথা ঘামানোর কোন আগ্রহ পাচ্ছিনা। কারণ আমি অলরেডি এরচেয়ে বড় একটা সমস্যায় আছি!

সমস্যা ঘোরতর। সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল হাতে নিতেই মৃন্ময়ীর মেসেজটা পেলাম। মেসেজে মৃন্ময়ী আমাকে লুচু সম্বোধন করে লিখেছে, সে আর কিছুতেই আমার সাথে রিলেশন রাখতে চায় না। এবং আমি যেন কখনোই কোনভাবে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা না করি। তারপর ফেসবুক থেকে শুরু করে হোয়াটস এপ পর্যন্ত সব জায়গাতে সে আমাকে ব্লক দিয়ে রেখেছে। তার ফোনে কল দিয়েও কোন রেস্পন্স পাচ্ছিনা। মেসেজেরও কোন রিপ্লাই পাচ্ছিনা!

মৃন্ময়ীর আমাকে লুচু বলার কি কারণ থাকতে পারে সেটা আমার মাথায় আসছেনা। সে কি মনে করে এরকম একটা মেসেজ লিখলো তার কারণও আমার কাছে পরিষ্কার না। মৃন্ময়ীর সাথে যোগাযোগ না হওয়া পর্যন্ত এই রহস্যের সমাধান হবে না।

অনেকবার ট্রাই করার পর দুপুরের পর করে অবশেষে মৃন্ময়ী আমার ফোন ধরলো। সে আমার কোন কথাই শুনতে চায় না। অবশেষে অনেক কিছুর দোহাই দিয়ে তাকে বিকেলে আমার সাথে একবার দেখা করার জন্য রাজী করালাম কোনমতে।

মৃন্ময়ী রেগে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি বোকার মতো তাকিয়ে আছি তার দিকে। কিছু না বলে মৃন্ময়ী তার মোবাইলটা আমার দিকে এগিয়ে দিল। স্ক্রীনে আমার নাম্বার থেকে পাঠানো একটা মেসেজ ভাসছে।

মেসেজে লিখা আছে, "প্লিজ তিশা, তুমি আমাকে ভুল বুঝছো শুধু শুধু। এই ছোট্ট একটা কারণে তুমি আমার সাথে একবছরের রিলেশন ভেঙ্গে দিতে পারোনা। তুমি মৃন্ময়ীকে আমার সাথে দেখে ভুল কিছু ভেবে বসে আছো। মৃন্ময়ী তো আমার কাজিন বোন হয়। আমি সেদিন ওকে কলেজে এগিয়ে দিতে গেছিলাম শুধু।"

এর পরপরই আমার নাম্বার থেকে পাঠানো দ্বিতীয় আরেকটা মেসেজ আছে। এই মেসেজে লিখা, "মৃন্ময়ী প্লীজ আগের মেসেজটা তুমি পড়োনা, ওটা তোমার কাছে ভুলে চলে গেছে। ওটা ডিলিট করে দাও প্লিজ।"

মেসেজ দেখে আমার মাথায় হাত। এই মেসেজ আমি পাঠাইনি কিছুতেই। আমি কিছু বলার আগেই মৃন্ময়ী গর্জে উঠলো, "এই ব্যাটা এই, আমি তোর বোন হই শালা? তিশা মেয়েটা কে? আমার সাথে তোর রিলেশন একমাসের, আর ওই মেয়ের সাথে একবছর ধরে রিলেশনে আছিস তুই? শালা লুচু, তোর মতো একটা ছ্যাসড়ার সাথে আমার রিলেশনে যাওয়াটাই ভুল ছিল!"

"বিশ্বাস করো মৃন্ময়ী আমি এই মেসেজ লিখিনি!"

"তুই না লিখলে শালা তোর বাপে লিখেছে! আমি যাচ্ছি। খবরদার আর কখনো যোগাযোগের চেষ্টা করবিনা আমার সাথে!"

মৃন্ময়ী চলে গেল। মৃন্ময়ীর শেষ কথাটা আমি বুঝতে পারলাম না। মৃন্ময়ী বলেছে মেসেজ আমি না লিখলে আমার বাপে লিখেছে, কিন্তু আব্বু কেন মৃন্ময়ীকে শুধুশুধু মেসেজ লিখবে এই কথাটা কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকলোনা। তারপরই ঘটনার আসল রহস্য আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল। মেসেজ আমি বা আমার বাপে না লিখলেও কে বা কারা লিখেছে তা আমি বেশ ভাল করেই বুঝতে পারলাম।

বাসায় ফিরেই রিমিকে কানে ধরে আমার রুমে নিয়ে আসলাম। এইটাই হচ্ছে আসল কালপ্রিট। জিজ্ঞাসাবাদে রিমি স্বীকার করলো যে সে কাল রাতে আমি ঘুমানোর পর আমার মোবাইল থেকে মৃন্ময়ীকে মেসেজ দুইটা পাঠিয়েছে। রিমির এই কাজের পেছনের কারণ শুনে আমি হতবাক।
কারণটা হচ্ছে, রিমির ধারণা আমার গার্লফ্রেন্ড থাকাতে আমার টাকার একটা বড় অংশ অপচয় হচ্ছে গার্লফ্রেন্ডের পেছনে। আর তাতে নাকি আমার টাকায় তার অধিকার আর ভাগ দুইটাই কমে যাচ্ছে দিনদিন!

রাতে রিমিকে ক্লাসের পড়া বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তার রুমে গিয়ে দেখি তার পড়ার টেবিলে রঙ্গিন প্রচ্ছদের ম্যাগাজিন সাইজের ছোট একটা বই পড়ে আছে।
বইয়ের নাম 'সম্পর্ক ভাঙ্গার ১০১ উপায়!' 😜

© Rayan Muntasir

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০১৯

জান্নাত = আত্মীয় বা রক্তের সম্পর্ক বজায় রাখা

জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের গুণাবলী

 আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী ব্যক্তি জান্নাতে যাবে

যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদতে তার সাথে কাউকে শরীক করবে না, সালাত কায়েম করবে, যাকাত করবে এবং আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
“আবূ আয়্যুব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ এর নিকট এসে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কোনো আমলের কথা বলুন যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। তিনি বললেন: আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাঁর সাথে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করবে না। সালাত কায়েম কর, যাকাত আদায় কর, আর আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখ। যখন ঐ লোক ফিরে যেতে লাগল, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: তাকে যা করতে বলা হল, যদি সে এর ওপর আমল করে তাহলে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। মুসলিম কিতাবুল ঈমান, পরিচ্ছেদ: যে ঈমান একজন মুমিনকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। হাদীস নং ১৩।
আবূ আইয়ূব খালেদ ইবনে যায়েদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে এমন আমল বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে।’ নাবী ﷺ বললেন, ‘‘তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সাথে কাউকে অংশীদার করবে না, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দেবে এবং রক্ত সম্পর্ক বজায় রাখবে।’’ সহীহুল বুখারী ১৩৯৬, ৫৯৮৩, মুসলিম ১৩

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১০, ২০১৯

কামনা-বাসনা ও পর্দা

ইসলাম যখনেই বলে পুরুষ নারী কামনা-বাসনা এড়াতে মেয়েদের বোরখা সদৃশ পর্দার ব্যাপারে এবং ছেলেদের চোখ নীচে রেখে পর্দা করার ব্যাপারে তখনেই এক শ্রেনীর সো কলড সভ্য শ্রেনীর মানুষরা বলে উঠে, "মনের পবিত্রতা বড় জিনিষ", "হজুরদের সমস্যা, লোল বেশী পড়ে", "উই আর জাষ্ট ফ্রেন্ড"। যে সব ছেলেরা বলে আমি তো আমার ঐ বান্ধবীরে জাস্ট ফ্রেন্ড ভাবি- তারা হয় মিথ্যাবাদী নয়তো তাদের পৌরুষত্ব নাই। কিছু বোনেরা অনেকসময় ছেলেদের ভিজ্যুয়াল পাওয়ারের ব্যাপারে কোন ধারনাই রাখেন না যার কারনে বিনে পয়সায় চিয়ার লিডারের খাটনি খাটেন বেপর্দা থেকে। ভিডিওটি দেখার পর আশাকরি আপুদের ছেলেদের ভিজ্যুয়াল পাওয়ারের ব্যাপারে আইডিয়া পাবেন এবং পর্দার গুরুত্ব কেন বুঝতে পারবেন।
শেষ কথা এটাই, পুরুষদের বলছি, নারীদের দেখে যদি আপনার লালা না ঝরে তবে আপনি নপুংসক নয়তো মিথ্যাবাদী। আপনি আল্লহর ভয়ে ও জান্নাতের আশায় নিজেকে সংযত রাখতে পারেন, সেটা আল্লহর তাওফিক।
কার্টেসিঃ আমানাহ ম্যাট্রিমোনি।

 

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ০৯, ২০১৯

ইসলামের জন্য জীবন, নাকি জীবনের জন্য ইসলাম?

সর্বশেষ উমাইয়া খলিফা মারওয়ান ইবনে মুহাম্মদের সময় ইরাকের গভর্নর ছিলেন ইয়াজিদ ইবনে আমর। তিনি আবু হানিফা রহ.কে ইরাকের গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করতে বললে আবু হানিফা রহ. অস্বীকৃতি জানান। সে সময় রাষ্ট্রের অবস্থা ছিল ভঙ্গুর।
বিদ্রোহ দমনের জন্য যে নানাবিধ দমননীতি গ্রহণ করা হয়েছিল- আশঙ্কা ছিল এক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থার যথেচ্ছ ব্যবহার করা হবে এবং যাবতীয় অবিচারের সামাজিক বৈধতা জাহির করতে রাষ্ট্র আবু হানিফার ভাবমূর্তী ও গ্রহণযোগ্যতাকে ব্যবহার করবে।
আবু হানিফা রহ. তাই এ নিয়োগের ব্যাপারে ঘোরতোর আপত্তি জানান। ইয়াজিদ ইবনে আমর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একশদশটি চাবুকাঘাতের নির্দেশ দেন আবু হানিফার মাথা ও ঘাড়ে। পরদিন আবু হানিফা রহ. পরামর্শ করার সময় চেয়ে কৌশলে হিজাযে হিজরত করেন।
মক্কা ও মদীনায় বছর পাঁচেক অবস্থানকালে ১৩২ (৭৫০ ঈসাব্দ) হিজরিতে উমাইয়া খেলাফতের পতনের পর আব্বাসী খেলাফত আমলে তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। আব্বাসীদের আমলে আবু হানিফা রহ. সম্মানিত ও মান্য বলে শাসকশ্রেণীর কাছে গণ্য হতেন।
এমনকি ২য় আব্বাসী খলিফা আবু জাফর আল মানসুর, যিনি আবু হানিফার কারাহত্যা সংঘটিত করেন তিনিও দায়িত্ব গ্রহণের পর আবু হানিফার কাছে হাদিয়া স্বরূপ ১০ হাজার দিরহাম ও একজন দাসী প্রেরণ করেছিলেন। অবশ্য আবু হানিফা রহ. তাঁর স্বভাবসিদ্ধ রীতি অনুযায়ী তা ফেরত পাঠান।
মানসুরের বিরুদ্ধে মদিনায় মোহাম্মদ রহ. বিদ্রোহ করেন। তাঁর ভাই, ইব্রাহিম ছিলেন এই ব্যাপারে তাঁর রাজনৈতিক দূত। (এই ভাতৃদ্বয় হাসান রা. এঁর নাতি। তাঁরাসহ তাঁদের পরিবারের কমপক্ষে ১০ জন খলিফা মনসুরের হাতে শহীদ হন।) তিনি ১৪৫ হিজরিতে কুফা সফর করেন। কুফা সফরকালে তিনি আবু হানিফা রহ. এঁর সাথে সাক্ষাত করেন।
স্বাভাবিকভাবেই নবী পরিবারের সদস্য হওয়ায় আবু হানিফা রহ. তাঁকে উষ্ণ আতিথেয়তা প্রদর্শন করেন। গুজব রটে যে, আবু হানিফা রহ. এই বিদ্রোহের স্বপক্ষে মত দিয়েছেন ও সাহায্য করেছেন। মানসুর বহুসংখ্যক হত্যার মধ্য দিয়ে এই বিদ্রোহ দমন করেন। খলিফা মনসুর আবু হানিফা রহ. কে কুফা থেকে বাগদাদে নিয়ে আসেন।
মানসুরের বিরুদ্ধে ছোট ছোট ও খণ্ড খণ্ড আরও বিদ্রোহ অব্যাহত থাকায় তার আশঙ্কা ছিল যে, সামান্যতম সুযোগ পেলেপ যেকোনও বিদ্রোহ সংগঠিত হয়ে তাঁর শাসনকালের সমাপ্তি এনে দিতে পারে।
এজন্য তার শাসনকে আরও নিঃশঙ্ক করতে আবু হানিফাকে অনুরোধ করেন যেন তিনি এই ফতওয়া প্রদান করেন যে, খলিফা মানসুর ‘আলা মিনহাজিন নবুওয়্যাহ’ অর্থাৎ নবুওইয়্যাতের পথ ও পদ্ধতির উপর প্রতিষ্ঠিত এবং তিনি পরিপূর্ণ হক্ব।
এর মানে এই দাঁড়ায় যে, তার বিরুদ্ধে যাবতীয় বিদ্রোহ হারাম। আর বিদ্রোহীরা সর্বোচ্চ শরয়ী ফৌজদারি দণ্ড আরোপযোগ্য। যা ছিল প্রকারান্তরে খলিফা মানসুরের যাবতীয় জুলুমকে একবাক্যে বৈধ বলে ফতোয়া দেওয়ার নামান্তর।
বিনিময়ে মানসুর আবু হানিফাকে কাযী-উল-কুযাত (চিফ জাস্টিস, সুপ্রিম কোর্ট অব আপিল) পদ গ্রহণের প্রস্তাব করেন। আবু হানীফা রহ. দৃঢ়ভাবে তা প্রত্যাখান করেন। মানসুর তাঁর পায়ে ত্রিশটা বেত্রঘাত করে, তাঁর পা ফেটে রক্ত ঝরতে শুরু করে এবং তাঁকে কারান্তরীণ করার নির্দেশ দেন।
পুনরায় তাঁকে ডেকে এনে ক্ষমা চান এবং তাঁর সামনে হাদিয়াস্বরূপ ৩০ হাজার দিরহাম উপস্থাপন করেন। এবারেও আবু হানিফা রহ. মানসুরের যাবতীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
ঐতিহাসিক কিছু নির্ভরযোগ্য বর্ণনামতে, এবার মনসুর এই নির্দেশ প্রদান করেন যে, তার মতে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক পরবর্তী দিন ১০ বেত্রাঘাত করে বাড়িয়ে আবু হানিফাকে বেত্রাঘাত করা হবে।
একাদশতম দিনে অর্থাৎ ১১০ বেত্রাঘাত প্রদানের দিন তাঁকে বিষমিশ্রিত শরবত পান করানো হয়। সেজদারত অবস্থায় আবু হানীফা রহ. শাহাদাত বরণ করেন। সেলজুকদের আমলে তাঁর কবরের উপর গম্বুজ নির্মাণ করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আমাদের পূর্ব-পুরুষ, ইমামে আজম আবু হানীফা সেদিন রাজকীয় নেয়ামতকে উপেক্ষা করে বিপরীতে এই ভয়াবহ অব্যাহত জুলুমকে মেনে নিয়ে শেষাবধি শাহাদাতকে মেনে নিয়েছেন কিন্তু কোনও অন্যায়ের, জুলুমের সঙ্গী হন নি। হক্বকে পরিত্যাগ করেন নি।
ইসলামী ইতিহাসের জগতের আরেক নক্ষত্র কাযী ইয়ায রহ.। যিনি ছিলেন মুরাবিতুন সালতানাতের সময়ে সাবতার কাযী, ইমাম। নগরটি Ceuta নামে আধুনিক স্পেনের দখলীকৃত। স্পেনে শহরটি স্বায়ত্ত্বশাসন ভোগ করে থাকে।
আফ্রিকান এই দ্বীপ আদতে ঐতিহাসিকভাবে মরোক্কোর অবিচ্ছেদ্য একটি শহর। ছিলেন স্পেনের গ্রানাডা কেন্দ্রীক ইমারাত-আল-গ্রানাথা (গ্রানাডা)র প্রধান বিচারপতি।
মুরাবিতুন সালতানাত গঠিত হয়েছিল মরক্কো, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া থেকে সেনেগাল নদীর সীমা অবধি বিস্তার নিয়ে, উলামা ও হক্বপন্থীদের নেতৃত্বে। ক্রমে যখন সেইসব গৌরব হারিয়ে যাচ্ছিল তখন নিজেদের কাজের ফল হিসেবেই আল মোয়াহহিদিন সালাতানাতের হাতে পতন হয় মুরাবিতুনিদের।
মোয়াহহিদিন সালাতানের প্রতিষ্ঠাতা ইবনে তুমারত ছিলেন ভয়াবহ জালিম। তিনি নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করেছেন। এই সম্রাজ্য সে যুগেই প্রায় ১০ লাখ মানুষের হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছিল। তিনি আকীদাগতভাবে ভ্রান্ত ছিলেন।
এই মোয়াহহিদিনরা সাবতাও দখলে নেয়। কাযী ইয়াযকে স্বপদে বহাল রাখা হয়। ম্যায়ুরকা (Mallorca, Spain) দ্বীপের শাসকের প্রতিশ্রুতিতে সাবতাবাসী মোয়াহহিদিনদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। মোয়াহহিদিনরা সাবতার দিকে মার্চ করে।
কিন্তু ম্যায়ুরকার শাসক শেষাবধি সাবতাবাসীদের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় শহরকে বাঁচাতে কাযী ইয়াজ নিজেকে মোয়াহহিদিনদের নিকট সমর্পণ করেন। বিদ্রোহের যাবতীয় দায় নিজের একক দায় হিসেবে স্বীকার করেন। মোয়াহহিদিনরা শহরবাসীর জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে।
কাযী ইয়াজকেও ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বিচারপতির পদবহালের নিশ্চয়তা দেয় এই শর্তে যে- ১। এই সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ইবনে তুরমাত (Ibn Turmat)কে নিষ্পাপ ঘোষণা করতে হবে। ২। ইবনে তুরমাতকে ইমাম মাহদি হিসেবে মেনে ফতোয়া দিতে হবে।
সেই ফতোয়া পুস্তকাকারে সালতানাতের সমস্ত প্রান্তে প্রচার করা হবে। কাযী ইয়ায এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি স্পষ্ট বলেন, যে দাজ্জাল সে কী করে মাহদি হতে পারে? মোয়াহহিদিনদের জুলুমের তরবারি তাঁর উপর নেমে আসে।
তাঁকে টুকরো টুকরো করে কাটা হয়। বর্শা দিয়ে একটু একটু করে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে করে তাঁকে শহীদ করা হয়। লাশকে একেবারে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে কেটে জানাজা বিহীন পুঁতে রাখা হয় মারাক্কেশের এক প্রান্তে।
মারাক্কেশ মরোক্কোর পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান শহর ও দেশটির চতুর্থ বৃহৎ নগরী। তাঁর দাফনের জায়গা খ্রিস্টানদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়, নির্মাণ করা হয় গীর্জা। মুয়াহহিদিনদেরও পতন হয় মারিনিয়্যুন (Marinid) সালাতানাতের হাতে। সে সময় তাঁর কবরকেও উদ্ধার করা হয়।
যে ইলম তাঁদের করেছিল হক্বের প্রতি এতটা দৃঢ়, সে ইলমের উত্তরাধিকারী দাবি করেও আমরা কেন এতটা ভঙ্গুর? যে ঈমান তাঁদের করেছিল এত অবিচল সে ঈমানের উত্তরসূরী হওয়া স্বত্ত্বেও আমরা কেনইবা এত বিচলিত, এত ভীত?
কার্টেসিঃ আরজু আহমাদ

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০১৯

সংসার

No photo description available.

অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও, খেয়ে নিই।’
স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী ড্রয়িংরুমের সোফায় বসতে বসতে বলল, ‘শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি দাও…বড্ড তেষ্টা পেয়েছে।’
স্ত্রী পানি দিয়ে গেল।
পানি খেতে খেতে স্বামী বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে।’
এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘অ্যাই, পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…নির্লজ্জ, অসভ্য, ছোটলোক, স্বার্থপর…’
স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।’

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০১৯

(Nekrofilija) নেক্রোফেজিয়া এবং (Necrophilia) নেক্রোফিলিয়াঃ ভয়নঙ্কর রোগ

নেক্রোফেজিয়া হল মৃত মানুষের মাংস খাওয়া আর নেক্রোফিলিয়া হল মৃত মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা। মূলত বিকৃত মস্তিষ্কের না হলে কারো পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। যারা মর্গে কাজ করেন, দীর্ঘদিন লাশের আশেপাশে থাকেন ধারণা করা হয় তারাই নেক্রোফিলিক হন। নেক্রোফেজিক মূলত তিন ধরনের। এক, এরা যৌনকার্য করার জন্য খুন করে। দুই, মরা লাশ খুঁজে বের করে শারীরিক সম্পর্ক করে, অনেক সময় লাশ চুরি করে এনে তারপর শারীরিক সম্পর্ক করে, তিন, এরা মৃত মানুষকে কল্পনা করে কল্পনাতেই শারীরিক সম্পর্ক করে থাকে।
চলুন কিছু কুখ্যাত নেক্রোফিলিক ব্যক্তিদের সম্পর্কে জেনে নেই।
বাংলাদেশে একজন নেক্রোফিলিক ছিলেন। একটা সরকারি হাসপাতালে ডোম হিসেবে কাজ করতেন। প্রায় ৪০ বছর লাশ কাটার দায়িত্ব পালন করেন। লাশের সাথে থাকতে থাকতে লাশের প্রতি তার যৌন আকাঙ্ক্ষা তৈরী হয়। রাতের আঁধারে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। অনেকদিন আগে পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে। এখনও কারাগারে আছেন তিনি। ( স্যারের মুখ থেকে শোনা। আসল নামটা ভুলে গেছি। )








Related image

প্রচলিত মিথ অনুসারে, রাজা হেরোড তার স্ত্রী ম্যারিয়ানির মৃত্যুর সাত বছর পর্যন্ত মৃতদেহের সাথে যৌনকার্য করেছেন। একই কাহিনী প্রচলিত আছে রাজা ওয়াল্ডিমার এবং রাজা চার্লম্যাগনের নামেও।
ম্যাক্সিকান সুন্দরী ওলেন। ২৮ বছর বয়সী। তিনিও নেক্রোফিলিক ছিলেন। ১৫ বছর বয়সে গর্ভবতী হলে প্রেমিককে বিয়ে করতে চাপ দেন।প্রেমিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলে রাগে,ক্ষোভে প্রেমিককে খুন করেন। কিন্তু তাতেও তার মন ভরছিল না। প্রেমিকের রক্ত দিয়ে গোসল করেন। তার মাংস কেটে সেগুলো রান্না করে খান,বন্ধুদের দাওয়াত দিয়েও সেই মাংস খাওয়ান। এরপর একে একে ১১ জনকে খুন করে একি কাজ করেন সবার সাথে। খুন করে লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা ছিল তার কাছে নেশার মতো। বর্তমানে মেক্সিকোর কুখ্যাত কারাগার 'সেটাস কার্টেলে' বন্দী আছেন ৪৯ টি খুনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকা এই নারী।
কেনিথ ডগলাস। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাই অঙ্গরাজ্যের একটি কাউন্টি হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন ৬০ বছর বয়সী এই ডগলাস। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি মদ্যপ অবস্থায় মৃত লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। ধারণা করা হয় জেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ১০০ মৃত নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন তিনি। ২০১২ সালে গ্রেফতার হন তিনি।


Image result for Nekrofilija

জাকার্তার তরুণী জিম। একটা দামী রেস্টুরেন্টে রান্নার কাজ করতেন। উনার রান্না এত সুস্বাদু ছিল যে দেশ বিদেশে প্রচুর নামডাক ছিল উনার। উনার একটা শখ ছিল বন্ধু বান্ধবদের বাসায় দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো। কিন্তু বাসায় যাওয়ার পর আর কেউ ফেরত আসতে পারতেন না। খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলতেন সবাইকে। তারপর সবার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। রক্ত দিয়ে গোসল করতেন। মাংস কেটে ফ্রিজে রাখতেন। তারপর আবার বন্ধু দাওয়াত করতেন। ফ্রিজ থেকে সেই মাংস বের করে রান্না করে খাওয়াতেন। খাওয়ানোর পর মেরে ফেলে একি কাজ বারবার করতেন। নিজের স্বামীকেও খুন করে তার মাংস রান্না করে খেয়েজেন বিকৃত মস্তিষ্কের এই নারী।
(পরের অংশটি প্রাইম নিউজ থেকে কপি করে দিলাম)
আরেকজন কুখ্যাত নেক্রোফিলিয়া রোগী স্যার প্রাইস। তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি দ্রুতই দ্বিতীয় বিয়ে করেন কিন্তু ১ম স্ত্রীকে মমি করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে একই বিছনায় ঘুমাতেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যুর পরও তাকে একইভাবে মমি করে বিছনায় রেখে দেন। তৃতীয় স্ত্রী দুটো মৃতদেহ নিয়ে একই বিছনায় ঘুমাতে অস্বীকার করলে এ নিয়ে বিরোধ বাঁধে। তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার এ অস্বাভাবিক আচরন অব্যাহত রাখেন।
যুক্তরাষ্ট্রে হ্যারি ব্যালট নামে এক গোর খাদককে গ্রেপ্তার করা হয় অসংখ্য মৃতদেহের সাথে সহবাস করার কারনে। গ্রেপ্তারেরর পর তার সহজ স্বীকারোক্তি - ” আমার পক্ষে জীবিত কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করা সম্ভব নয় তাই আমি মৃতদেহের সাথে সহবাস করি। এতে কারো কোন ক্ষতি হয়না কিন্তু আমি পুলক লাভ করি”।
নেকরোফিলিয়ার আর এক আলোচিত ব্যাক্তি হলেন ডাঃ কার্ল ভ্যান ক্যাসল। ১৯৩০ সালে ফ্লোরিডায় তিনি ডাক্তারী পেশায় থাকাবস্থায় মারিয়া এলেনা উজ নামীয় এক সুন্দরী টিবি রোগীর চিকিৎসা করেন। চিকিৎসা করতে করতে গভীরভাবে ঐ মেয়ের প্রেমে পড়ে যান ডাঃ ক্যাসল। ডাঃ ক্যাসল মেয়েটিকে বাচাঁনোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হন। মারিয়ার মৃত্যুর পর তাকে জাকজমকপূর্ণভাবে সমাহিত করা হয়। মারিয়ার সমাধির পর তার দেহে যেন পচন না ধরে সেজন্য ডাঃ ক্যাসল তার সারা গায়ে মোম দিয়ে দেন এবং পারফিউম ছড়িয়ে দেন। প্রতিদিনই ডাঃ ক্যাসল মারিয়ার সমাধিতে যেতেন এবং সমাধির উপরের অংশ সরিয়ে মৃত মারিয়ার সাথে মিলিত হতেন। এভাবে প্রতিদিন ডাঃ ক্যাসলের মারিয়ার সমাধি পাশে যাওয়া নিয়ে প্রতিবেশীরা সমালোচনা শুরু করলে ডাঃ ক্যাসল একদিন সবার অলক্ষ্যে মারিয়াকে নিজ গৃহে নিয়ে আসেন।
মারিয়ার দেহে মোম ও পারফিউম দিয়ে নববধুর গাউন পরিয়ে মৃত মারিয়ার সাথে নিয়মিত মিলিত হতে থাকেন ডাঃ ক্যাসল। প্রকৃতপক্ষে মারিয়ার শরীরে তখন মাংস অবশিষ্ট ছিল না কেবল হাঁড় ছাড়া। ডাঃ ক্যাসল মারিয়ার শরীরের বিশেষ অঙ্গে একটি টিউব বসিয়ে নিয়মিত যৌন কার্য করতেন। প্রতিনিয়ত মোম ও পারফিউম দেয়ার পরও মারিয়ার পচন এবং দুর্গন্ধ ঠেকানো যাচ্ছিল না। প্রতিবেশীরা এ নিয়ে আপত্তি জানায় এবং পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ এসে ডাঃ ক্যাসলের রুম থেকে মারিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং মারিয়ার পরিবারের আবেদন মতেরিয়াকে পুনরায় সমাধিস্থ করে। পরবর্তীতে ডাঃ ক্যাসল একটি পুতুলকে মারিয়ার মুখোশ পরিয়ে তার সাথে বসবাস করতে থাকেন। এভাবে আমৃত্যু মারিয়ার প্রতি তার ভালবাসা অব্যাহত ছিল। এরকম বৈসাদৃশ্য ও অস্বাভাবিক আচরণ করলেও ব্যাক্তি জীবনে ডাঃ ক্যাসল ছিলেন নিপাট ভদ্রলোক।

শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮

চন্দ্রনাথ পাহাড়

আমার দেখা এখন পর্যন্ত সবথেকে সুন্দর জায়গা "চন্দ্রনাথ পাহাড় "।
মাএ ২০ মিনিটের প্লান আর সাথে ৫০০ টাকা খরচ করে ঘুরে আসলাম মেঘ আর পাহাড় এর রাজ্য থেকে, ১ দিনের ভিতর।



যেভাবে যাবেন :
# ঢাকা থেকে রাত ১০:৩০ টায় মেইল ট্রেনে (লোকাল ট্রেন) করে সীতাকুণ্ড। ভাড়া ১২০টাকা। সকাল ৭ টার ভিতর সীতাকুণ্ড স্টেশনএ পৌছে যাবেন।
# ট্রেন থেকে নেমে, ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে নিন ২০-৩০ টাকার মধ্যে।
# তারপর চন্দ্রনাথ বাজারে থেকে CNG ভাড়া করে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে চলে যান। ভাড়া জন প্রতি ২০ টাকা।
# পাহাড়ে উঠার আগে পানি, রুটি, কলা, চিপস কিনে নিন। কারন পাহাড়ে ভাল কোন হোটেল বা দোকান নেই।
# ২০ টাকা দিয়ে একটি বাশ কিনে নিবেন অবশ্যই, কারন পাহাড়ে উঠার সময় বাশ খুবই সহায়ক।
# পাহাড়ে উঠতে প্রায় ২ ঘন্টার মত লাগবে, সারাদিন পাহাড়ের সুন্দর্য উপভোগ করুন।
# আকাশ মেঘলা থাকলে পাহাড়ে মেঘ দেখার সুযোগ পাবেন।
# সন্ধ্যা ৬ টার আগে পাহাড় থেকে নেমে সীতাকুণ্ড বাজারে চলে আসুন তারপর ৬:৩০ চট্রগ্রাম যাওয়ার ট্রেনে উঠে পড়ুন। রাত ৭:৩০ টার ভিতর চট্রগ্রাম পৌছে যাবেন।
# তারপর রাতের খাবার খেয়ে নিন। চট্রগ্রাম থেকে রাত ১০:৩০ টার মেইল ট্রেনে চড়ে ঢাকায় চলে আসুন। ভাড়া ১২০ টাকা।
# সকাল ৭ টার ভিতর ঢাকা চলে আসবেন।
বি:দ্র: ঘুরতে গিয়ে যেখানে সেখানে পানির বোতল, পলিথিন ফেলবেন না।
দেশটা তো আমাদের, আমরাই যদি নোংরা করি তাহলে রক্ষা করবে কে?

সম্পর্ক ভাঙ্গার ১০১ উপায়

মানিব্যাগটা হাতে নিতেই বুঝতে পারলাম এখান থেকে বেশ কিছু টাকা হাত সাফাই হয়েছে। গুনে দেখি দুইশো টাকা মতো গায়েব। আমার মানিব্যাগ থেকে টাকা গায়েব...