নেক্রোফেজিয়া হল মৃত মানুষের মাংস খাওয়া আর নেক্রোফিলিয়া হল
মৃত মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা। মূলত বিকৃত মস্তিষ্কের না হলে কারো
পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। যারা মর্গে কাজ করেন, দীর্ঘদিন লাশের আশেপাশে
থাকেন ধারণা করা হয় তারাই নেক্রোফিলিক হন। নেক্রোফেজিক মূলত তিন ধরনের। এক,
এরা যৌনকার্য করার জন্য খুন করে। দুই, মরা লাশ খুঁজে বের করে শারীরিক
সম্পর্ক করে, অনেক সময় লাশ চুরি করে এনে তারপর শারীরিক সম্পর্ক করে, তিন,
এরা মৃত মানুষকে কল্পনা করে কল্পনাতেই শারীরিক সম্পর্ক করে থাকে।
চলুন কিছু কুখ্যাত নেক্রোফিলিক ব্যক্তিদের সম্পর্কে জেনে নেই।
বাংলাদেশে একজন নেক্রোফিলিক ছিলেন। একটা সরকারি হাসপাতালে ডোম হিসেবে কাজ
করতেন। প্রায় ৪০ বছর লাশ কাটার দায়িত্ব পালন করেন। লাশের সাথে থাকতে থাকতে
লাশের প্রতি তার যৌন আকাঙ্ক্ষা তৈরী হয়। রাতের আঁধারে শারীরিক সম্পর্ক
করতেন। অনেকদিন আগে পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে। এখনও কারাগারে আছেন তিনি। (
স্যারের মুখ থেকে শোনা। আসল নামটা ভুলে গেছি। )
প্রচলিত মিথ অনুসারে,
রাজা হেরোড তার স্ত্রী ম্যারিয়ানির মৃত্যুর সাত বছর পর্যন্ত মৃতদেহের সাথে
যৌনকার্য করেছেন। একই কাহিনী প্রচলিত আছে রাজা ওয়াল্ডিমার এবং রাজা
চার্লম্যাগনের নামেও।
ম্যাক্সিকান সুন্দরী ওলেন। ২৮ বছর বয়সী। তিনিও
নেক্রোফিলিক ছিলেন। ১৫ বছর বয়সে গর্ভবতী হলে প্রেমিককে বিয়ে করতে চাপ
দেন।প্রেমিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলে রাগে,ক্ষোভে প্রেমিককে খুন করেন।
কিন্তু তাতেও তার মন ভরছিল না। প্রেমিকের রক্ত দিয়ে গোসল করেন। তার মাংস
কেটে সেগুলো রান্না করে খান,বন্ধুদের দাওয়াত দিয়েও সেই মাংস খাওয়ান। এরপর
একে একে ১১ জনকে খুন করে একি কাজ করেন সবার সাথে। খুন করে লাশের সাথে
শারীরিক সম্পর্ক করা ছিল তার কাছে নেশার মতো। বর্তমানে মেক্সিকোর কুখ্যাত
কারাগার 'সেটাস কার্টেলে' বন্দী আছেন ৪৯ টি খুনের সাথে প্রত্যক্ষ ও
পরোক্ষভাবে জড়িত থাকা এই নারী।
কেনিথ ডগলাস। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাই
অঙ্গরাজ্যের একটি কাউন্টি হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন
করতেন ৬০ বছর বয়সী এই ডগলাস। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন
তিনি। তিনি মদ্যপ অবস্থায় মৃত লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। ধারণা
করা হয় জেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ১০০ মৃত নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন
তিনি। ২০১২ সালে গ্রেফতার হন তিনি।
জাকার্তার তরুণী জিম। একটা দামী
রেস্টুরেন্টে রান্নার কাজ করতেন। উনার রান্না এত সুস্বাদু ছিল যে দেশ
বিদেশে প্রচুর নামডাক ছিল উনার। উনার একটা শখ ছিল বন্ধু বান্ধবদের বাসায়
দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো। কিন্তু বাসায় যাওয়ার পর আর কেউ ফেরত আসতে পারতেন না।
খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলতেন সবাইকে। তারপর সবার সাথে শারীরিক
সম্পর্ক করতেন। রক্ত দিয়ে গোসল করতেন। মাংস কেটে ফ্রিজে রাখতেন। তারপর আবার
বন্ধু দাওয়াত করতেন। ফ্রিজ থেকে সেই মাংস বের করে রান্না করে খাওয়াতেন।
খাওয়ানোর পর মেরে ফেলে একি কাজ বারবার করতেন। নিজের স্বামীকেও খুন করে তার
মাংস রান্না করে খেয়েজেন বিকৃত মস্তিষ্কের এই নারী।
(পরের অংশটি প্রাইম নিউজ থেকে কপি করে দিলাম)
আরেকজন কুখ্যাত নেক্রোফিলিয়া রোগী স্যার প্রাইস। তার প্রথম স্ত্রীর
মৃত্যুর পর তিনি দ্রুতই দ্বিতীয় বিয়ে করেন কিন্তু ১ম স্ত্রীকে মমি করে
দ্বিতীয় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে একই বিছনায় ঘুমাতেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর
মৃত্যুর পরও তাকে একইভাবে মমি করে বিছনায় রেখে দেন। তৃতীয় স্ত্রী দুটো
মৃতদেহ নিয়ে একই বিছনায় ঘুমাতে অস্বীকার করলে এ নিয়ে বিরোধ বাঁধে। তিনি
মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার এ অস্বাভাবিক আচরন অব্যাহত রাখেন।
যুক্তরাষ্ট্রে হ্যারি ব্যালট নামে এক গোর খাদককে গ্রেপ্তার করা হয় অসংখ্য
মৃতদেহের সাথে সহবাস করার কারনে। গ্রেপ্তারেরর পর তার সহজ স্বীকারোক্তি - ”
আমার পক্ষে জীবিত কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করা সম্ভব নয় তাই আমি মৃতদেহের
সাথে সহবাস করি। এতে কারো কোন ক্ষতি হয়না কিন্তু আমি পুলক লাভ করি”।
নেকরোফিলিয়ার আর এক আলোচিত ব্যাক্তি হলেন ডাঃ কার্ল ভ্যান ক্যাসল। ১৯৩০
সালে ফ্লোরিডায় তিনি ডাক্তারী পেশায় থাকাবস্থায় মারিয়া এলেনা উজ নামীয়
এক সুন্দরী টিবি রোগীর চিকিৎসা করেন। চিকিৎসা করতে করতে গভীরভাবে ঐ মেয়ের
প্রেমে পড়ে যান ডাঃ ক্যাসল। ডাঃ ক্যাসল মেয়েটিকে বাচাঁনোর জন্য আপ্রাণ
চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হন। মারিয়ার মৃত্যুর পর তাকে জাকজমকপূর্ণভাবে
সমাহিত করা হয়। মারিয়ার সমাধির পর তার দেহে যেন পচন না ধরে সেজন্য ডাঃ
ক্যাসল তার সারা গায়ে মোম দিয়ে দেন এবং পারফিউম ছড়িয়ে দেন। প্রতিদিনই
ডাঃ ক্যাসল মারিয়ার সমাধিতে যেতেন এবং সমাধির উপরের অংশ সরিয়ে মৃত
মারিয়ার সাথে মিলিত হতেন। এভাবে প্রতিদিন ডাঃ ক্যাসলের মারিয়ার সমাধি
পাশে যাওয়া নিয়ে প্রতিবেশীরা সমালোচনা শুরু করলে ডাঃ ক্যাসল একদিন সবার
অলক্ষ্যে মারিয়াকে নিজ গৃহে নিয়ে আসেন।
মারিয়ার দেহে মোম ও পারফিউম
দিয়ে নববধুর গাউন পরিয়ে মৃত মারিয়ার সাথে নিয়মিত মিলিত হতে থাকেন ডাঃ
ক্যাসল। প্রকৃতপক্ষে মারিয়ার শরীরে তখন মাংস অবশিষ্ট ছিল না কেবল হাঁড়
ছাড়া। ডাঃ ক্যাসল মারিয়ার শরীরের বিশেষ অঙ্গে একটি টিউব বসিয়ে নিয়মিত
যৌন কার্য করতেন। প্রতিনিয়ত মোম ও পারফিউম দেয়ার পরও মারিয়ার পচন এবং
দুর্গন্ধ ঠেকানো যাচ্ছিল না। প্রতিবেশীরা এ নিয়ে আপত্তি জানায় এবং
পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ এসে ডাঃ ক্যাসলের রুম থেকে মারিয়ার মৃতদেহ
উদ্ধার করে এবং মারিয়ার পরিবারের আবেদন মতেরিয়াকে পুনরায় সমাধিস্থ করে।
পরবর্তীতে ডাঃ ক্যাসল একটি পুতুলকে মারিয়ার মুখোশ পরিয়ে তার সাথে বসবাস
করতে থাকেন। এভাবে আমৃত্যু মারিয়ার প্রতি তার ভালবাসা অব্যাহত ছিল। এরকম
বৈসাদৃশ্য ও অস্বাভাবিক আচরণ করলেও ব্যাক্তি জীবনে ডাঃ ক্যাসল ছিলেন নিপাট
ভদ্রলোক।