বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২৩, ২০১৪

আমাদের শাসকেরাও যদি এমন হতো !!!!!



একদা হযরত উমর (রাঃ) সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি হামস এর গরীবদের জন্য বাইতুলমাল থেকে দান করবেন ।
এই জন্য তিনি গরীবদের একটি তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন ।
তালিকা পাবার পর তা দেখে তিনি অবাক হলেন,
কারণ তালিকায় হামস 
এর দায়িত্বশীল আমীরের নামও আছে !
তিনি হামসবাসীকে জিজ্ঞেস করলেন, হামসের আমীরের প্রতি তাদের কোন আভিযোগ আছে কিনা ।

তারা বলল, আমীরের প্রতি তাদের ৩টি অভিযোগ :-
১/ তিনি কেবল বিকেল বেলায়
প্রজাদের খোঁজখবর নেন ।
২/ তিনি রাতের বেলা ঘর থেকে বের হন না ।
৩/ তিনি শুক্রবার ঘর থেকে বের হন না ।

উমর (রা:) হামস এর আমীর "সাইয়িদ ইবনে আমের" এর কাছে জানতে চাইলে সাইয়িদ তা স্বীকার করেন ।
কারন হিসেবে তিনি বললেন,
১/ আমি সারাদিন পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে
বিকেলে প্রজাদের খবর নেই,
কারন আমার স্ত্রী অসুস্থ এবং আমাদের কোন
গৃহ পরিচারীকা নেই ।
২/ আমি রাতের বেলা বের হইনা, কারণ আমি
রাতে ইবাদাত করি ।
৩/ শুক্রবার বের হতে পারি না, কারন এইদিন
আমার একটিমাত্র জামা ধৌত করে শুকাতে দেই ।

হযরত উমর (রা) আমীরের এইসব কথা শুনে অবাক হলেন এবং তাঁর চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল ।
তিনি সাইয়িদ এর এই অভাবের কারন জানতে চাইলে সাইয়িদ বলেন, তাঁর বেতনের সিংহভাগই তিনি গরীবদের সাহায্যার্থে দান করে দেন ।

সুবহানআল্লাহ ! এই হলো ইসলামের স্বর্ণ যুগের শাসকদের জীবনযাপন । অধীনস্হ মানুষের সুখের খোঁজে নিজেদের সকল চাওয়া পাওয়া, সুখ-আনন্দ সবই তাঁরা হাসিমুখে বিসর্জন দিয়েছেন ।
কারণ তাদের মনে ছিল আল্লাহর ভয়, আর পরকালের নাজাতই ছিল তাদের একমাত্র কামনা ।

আমরা তো ইসলামের সেই সোনালী অধ্যায়ের প্রত্যাবর্তনেরই প্রত্যাশী।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পর্ক ভাঙ্গার ১০১ উপায়

মানিব্যাগটা হাতে নিতেই বুঝতে পারলাম এখান থেকে বেশ কিছু টাকা হাত সাফাই হয়েছে। গুনে দেখি দুইশো টাকা মতো গায়েব। আমার মানিব্যাগ থেকে টাকা গায়েব...